Our Blog

Blog Details

সুযোগ আছে স্লোভেনিয়াতে |
Jun 29, 2020

সুযোগ আছে স্লোভেনিয়াতে |

স্লোভেনিয়া মধ্য ইউরোপে অবস্থিত ৭,৮২৭.৪ বর্গমাইলের ছোট একটি রাষ্ট্র। ১৯৯১ সালে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়া ফেডারেশন থেকে স্বাধীনতা লাভ করা এ দেশটি বর্তমানে জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ন্যাটোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। ইউরো দেশটির জাতীয় মুদ্রা এবং দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহরের নাম লুবলিয়ানা। স্লোভিন দেশটির সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহূত ভাষা হলেও দেশটির সর্বত্র ইংরেজির প্রচলন রয়েছে। ইএফ ইংলিশ প্রোফিসিয়েন্সি ইনডেক্স অনুসারে স্লোভেনিয়ার বর্তমান স্কোর ৬৪.৪৮, যা সমগ্র পৃথিবীতে ইংরেজি মাতৃভাষা নয় এমন দেশগুলোর মধ্যে নবম।

স্লোভেনিয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব লুবলিয়ানা, ইউনিভার্সিটি অব মারিবোর, ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা, ইউনিভার্সিটি অব প্রিমোরস্কা উল্লেখযোগ্য। 

সাধারণত প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সেশনের জন্য স্লোভেনিয়ার ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন অফার করে থাকে, তবে কিছু কিছু ইউনিভার্সিটির কিছু সাবজেক্টের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি-মার্চ সেশনের জন্যও অ্যাডমিশনের আহ্বান করা হয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জুন মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আবেদনে সময়সীমা থাকে। নিল্ফেম্নাক্ত লিঙ্কে গিয়ে আপনাকে অনলাইনে অ্যাডমিশনের জন্য আবেদন করতে হবে:-
https://portal.evs.gov.si/prijava/?locale=en  আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার ই-মেইলে একটি পিডিএফ ফাইল পাঠানো হবে সেটাকে প্রিন্ট আউট করতে হবে এবং আপনার স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। এরপর নিল্ফেম্নাক্ত ডকুমেন্ট সহযোগে কুরিয়ারের মাধ্যমে সেগুলো ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডমিশন অফিসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে:-

 যাবতীয় সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্টের অরিজিনাল কপি; 

 যাবতীয় সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্টের একসেট সত্যায়িত কপি; 
 টোফেল কিংবা আইএলটিএস অথবা অন্য কোনো ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি সার্টিফিকেটের কপি; 

এছাড়াও মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য যদি কেউ আবেদন করে থাকেন, তার ক্ষেত্রে অনেক সময় সিভি, মোটিভেশনাল লেটার এমনকি ব্যাচেলরের কোর্স ডিসক্রিপশনও চাওয়া হতে পারে। বাংলাদেশি সার্টিফিকেট কিংবা মার্কশিটের কিংবা অন্য কোনো ধরনের ডকুমেন্টের ক্ষেত্রে অনেক সময় স্লোভেনিয়ার মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স থেকে লিগালাইজেশন করতে বলা হয়। স্লোভেনিয়ার মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স থেকে বাংলাদেশি কোনো ডকুমেন্ট লিগালাইজেশন করার শর্ত হচ্ছে প্রথমে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে অবস্থিত বাংলাদেশের এমবাসি থেকে সেগুলোকে অ্যাটাস্টেশন করা। ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডমিশন অফিসকে অনুরোধ করলে এবং তাদের খরচ পাঠানোর ব্যবস্থা করলে তারা এ লিগালাইজেশনের ব্যবস্থা করে দেয়; কিন্তু অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে অবস্থিত বাংলাদেশের এমবাসি থেকে কোনো একটি ডকুমেন্ট অ্যাটাস্টেশনের ব্যবস্থা করাটা অনেকটা দুরূহ একটি বিষয়। স্লোভেনিয়ার মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কোনো ডকুমেন্ট লিগালাইজেশনের জন্য পৃষ্ঠা প্রতি তিন ইউরো করে রাখে এবং দুর্ভাগ্যবশত তারা কোনো কুরিয়ার কপি গ্রহণ করে না। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিকে অনুরোধ করলে তারা স্লোভেনিয়ার মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স থেকে লিগালাইজেশনের ব্যবস্থা করে দেয়।

লেখক - রাকিবুক হাসান রাফি

ব্যাচেলর শিক্ষার্থী ,ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা

COO,EduXplore